কিশোরগঞ্জ জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক নির্ধারিত পঞ্জিকা অনুযায়ী বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অফিসসমূহ রুটিন কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে। সরকার ও নীতি নির্ধারকদের প্রয়োজনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো শুমারি ও জরিপ কাজ পরিচালনা করে থাকে। কিশোরগঞ্জ জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড নিম্নরুপ (পঞ্জিকা বহির্ভূত):
কৃষি ও পল্লী পরিসংখ্যান জরিপঃ
কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩ টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ১৫ এপ্রিল, ২০১৮ হতে ০৩ মে, ২০১৮ পর্যন্ত এ জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো নিয়মিত এবং এডহক ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরণের জরিপ পরিচালনা করে। শ্রমশক্তি জরিপ-২০১৫ অনুযায়ী কৃষিখাতে দেশের মোট জনবলের ৪১% শ্রমশক্তি নিয়োজিত এবং পল্লীতে ৫২% নিয়োজিত। কিন্তু বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এই প্রথমবার এডহক ভিত্তিতে কৃষি ও পল্লী পরিসংখ্যান জরিপ-২০১৮ পরিচালনা করতে যাচ্ছে। এপ্রিল-২০১৮ মাসব্যাপী এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। জরিপটির মাধ্যমে ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা, পল্লী এলাকার জনগণের জীবন জীবিকা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশকসমূহ বের করা সম্ভব হবে। এ জরিপের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যাবলী পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং পল্লী এলাকায় কৃষির উন্নয়নের সুষ্ঠূ এবং বাস্তবসম্মত কর্মসূচী প্রণয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
উদ্দেশ্যঃ এই জরিপের উদ্দেশ্য হল পল্লী এলাকায় জেলা ভিত্তিক আর্থসামাজিক অবস্থা, কর্মসংস্থান , কৃষি মজুরি এবং এর কর্মঘন্টা, জমির মালিকানা ও এর ব্যবহার, নারীর ক্ষমতায়ন, পুরুষ এবং মাহিলা ভেদে সুযোগ-সুবিধার তারতম্য কৃষি উপকরণ, কৃষি সরঞ্জাম ব্যবহার, কৃষিপণ্য বিক্রয় এবং মূল্য, ফসল কর্তনোওর ক্ষয়ক্ষতির হিসাব, কৃষি ঋণ ও এর ব্যবহার সংক্রান্ত পরিসংখ্যান তৈরী করা।
তাঁত শুমারি-২০১৮
০১-০৫ এপ্রিল, ২০১৮ সময়ে কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলায় তাঁত শুমারি-২০১৮ এর জোনাল অপারেশন বা প্রস্তুতিমূলক কাজ পরিচালনা করা হয়। মে-২০১৮ মাসে এ শুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
উদ্দেশ্যঃ
অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত জরিপ-২০১৮
২০১৩ সালে সারদেশে অর্থনৈতিক শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অর্খনৈতিক শুমারি-২০১৩ তে গণনাভুক্ত অর্থনৈতিক ইউনিটসমূহ হতে দৈবচয়নের মাধ্যমে ১১৭টি ইউনিট হতে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত জরিপ-২০১৮ তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ১১ মার্চ, ২০১৮ হতে ২০ মার্চ, ২০১৮ পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে এ জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
সার্ভে অন পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারী-২০১৮
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কিশোরগঞ্জ প্রদত্ত ৫টি সেবা কার্যক্রমের উপর এ জরিপ পরিচালিত হয়।
সিটিজেন হাউজহোল্ড এন্ড কোর্ট ইউজার সার্ভে-২০১৮
ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মাসে জেলা জজ কোর্ট কিশোরগঞ্জে এ জরিপ পরিচালিত হয়।
উদ্দেশ্যঃ বাংলাদেশের নাগরিকদের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ও ধারণা সমপর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে বিচার ব্যবস্থার কার্যকারিতা, নিরপেক্ষতা এবং দক্ষতা সম্পর্কে জানা ।
আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দ্বারা প্রস্তাবিত ও জিআইজেড এর অর্থায়নে এ জরিপ পরিচালিত হয়।
ইফেক্টিভ কাভারেজ অফ বেসিক সোস্যাল সার্ভিসেস
১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ হতে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ সময়ে কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩ টি উপজেলায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। মনিটরিং দি সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাস্টিসটিক্স অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) প্রকলল্পের স্থানীয় মহিলা রেজিস্ট্রারগণ ট্যাব ব্যবহার করে খানার সদস্যদের জনমিতিক তথ্য, খাবার পানি, স্যানিটেশন, আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার, শিশুর প্রতি সহিংসতা, বাল্য বিবাহ, জন্ম নিবন্ধন, শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো, পরিপূরক খাবার গ্রহণ, শিশুর আগাম শিক্ষা ও উদ্দীপনা, কৈশোর প্রাপ্তদের স্বাস্থসেবা, ৫-১৪ বছরের শিশুদের পড়াশোনা, মাতৃখাবার, প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সন্তান প্রসব এবং আয়রন ফলিক এসিড ট্যাবলেট সেবন প্রভৃতি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন।
মনিটরিং দি সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাস্টিসটিক্স অব বাংলাদেশ
কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলায় ২৯ টি নমুনা এলাকা হতে স্থানীয় মহিলা রেজস্টারগণ বছরব্যপী জন্ম,মৃতু,বিবাহ,তালাক,আগমন,বর্হিগমন জন্মনিয়ন্ত্রন,এইচআইভি এইচ এর তথ্য সংগ্রহ করে।
ন্যাশনাল হাইজহোল্ড ডাটাবেইজ প্রকল্প
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের মাধ্যমে ১৪৫ টি সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি বাস্তাবায়ন করা হচ্ছে। প্রতি বছর সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বরাদ্দ ও কলেবর বাড়লেও পদ্ধতিগত দুর্বলতার কারণে যথাযথ উপকারভোগী নির্বাচন সম্ভব হচ্ছেনা। সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচিগুলোর যথাযথভাবে উপকারভোগী নির্বাচনের সুবিধার্থে এবং কর্মসূচিগুলো আরও সুনির্দিষ্ট ও কার্যকরভাবে বাস্তাবায়নে সহায়তার লক্ষ্যে পরিসংখ্যান ও তথ্যব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক বিশ্বব্যাংকের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় National Household Database (NHD) শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
উদ্দেশ্যঃ
জেলা প্রশাসন, সকল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সার্বিক সহযোগিতায় গত ১৪ জানূয়ারি, ২০১৮ হতে ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সময়ে কিশোরগঞ্জ জেলায় খানা তথ্য ভান্ডার শুমারির মাধ্যমে এ প্রকল্পের সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। মূল তথ্য সংগ্রহ কাজে এ উপজেলায় ৪৭১ জন গণনাকারী ও ৮৭ জন সুপারভাইজার নিয়োজিত ছিল। উল্লেখ্য, ০৬-২০আগষ্ট, ২০১৭ সময়ে খানা তথ্যভান্ডার শুমারির প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্ন্ন হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস